follow me on Facebook www.facebook.com/ItsBachelorArif #শহুরে_বর্ষা
© অচলপয়সা
#১
নর্দমা থেকে ভেসে উঠা পচা,গলায় মিশ্রিত এই বর্ষার পানি ভাল্লাগেনা,
জীবনের প্রথম কোন বর্ষাকাল শহরে অতিবাহিত করতেছি।
এ কদিনেই আমি ত্যাক্ত😥বিরক্ত।
ভাল্লাগেনা এই #শহুরে_বর্ষা।
যেখানে বৃষ্টি নামলেও দেখার সময় মেলেনা,
ছুটতে হয় জীবিকার তাগিদে কর্মস্থলে।
৫টাকার ভাড়া বৃষ্টির সুবাদে নিমিষেই হয়ে যায় ২০টাকা,বৃষ্টি নামলে ছাতার দোকানিও ভাব দেখায় ২৫০৳ ছাতার দাম হাঁকে ৪০০টাকা।
এ কেমন শহর??
খুব মিস করি গ্রামের বর্ষা,
যেখানে বৃষ্টি নামলেই ফুটবল খেলা হয়,
ইশকুলে যাওয়ার পথে ইচ্ছে কর হলেও আছাড় খেতাম যাথে আর ইশকুলে যাওয়া না লাগে,(ইকবাল করিম তুই এটা করতিস)
ইশকুল থেকে ফেরার পথে ছাতা থাকা সত্বেও ভিজতাম ইচ্ছে করে,
এই প্রজন্মের মত সর্দি,কাশি আমাদেরকে খেলা থেকে বিরত রাখতে পারতনা,
বাড়ির সামনে বড় পুকুর ছিল(এখনো আছে কিন্তু পরিত্যক্ত)
ওই পুকুরে এহেন বর্ষায় #উজানি কই মাছ ধরতাম,
একটা ধরতে পারলেই যেন এভারেস্ট জয় করার আনন্দ পেতাম,
কেউ জিজ্ঞেস করলে মাছ কটা পাইছিস?
১০টা পেলে বলতাম ৩টা পাইছি,তাও অনেক জোড়াজুড়িতে বলতাম,(এটা কেন মিথ্যা বলা হয় আজও রহস্যই থেকে গেল)
বাবাই বেশী মাছ পেত আমি থলে নিয়ে বসে থাকতাম,আর মাছ পেলে কিছুক্ষণ পরপর #মা'কে দিয়ে আসতাম, মা'ত বেজায় খুশি।
চলত কইমাছের ড়িমে ভরপুর খাওয়াদাওয়া,
বর্ষা এখনো নামে,কই মাছ এখনো উঠে,
আমার সময় ছুটি মেলেনা এই শহুরে জীবন থেকে,
#বাবা এই বর্ষায় মাছ কটা পেয়েছে জানিনা,জিজ্ঞেসও করা হয়নি মা'কে।
#২
ঝুম বৃষ্টি যখন নামত সেদিন ইশকুলে যাওয়া হতনা,আমরা Omar Faruq Ctg,#ইকবাল,শাহীন আপু চাচাত ভাই-বোনেরা মিলে লুডু খেলতে বসতাম নেওয়া-খাওয়া ভুলে,
আরও একটা খেলা খেলতাম পাথর দিয়ে গুটি বানিয়ে গুটি খেলা(শুদ্ধ নামটা মনে পড়ছেনা)
বাড়ির উঠান ছিল বিশাল,ফুটবল নিয়ে মেতে উটতাম,আমি থাকতাম Omar Faruq Ctg ভাইয়ের পক্ষে #গোলকিপার, বল যতটানা মারতাম তার চেয়ে আছাড় খেতাম বেশী,
একটা মজার ঘটনা আছে,গোল খেলেই #ফারুক ভাই আমার মাথার চুল ধরে সেকি টানাটানি,
আজ সে স্মৃতি শুধুই হৃদয়ে বাজেঁ,
মিস করি ভীষন সেই কাদামাখামাখি খেলাটা।
#৩
আমরা বর্ষাটা ভীষনভাবে উপভোগ করতাম,
#মা #দাদী #বিন্নি_ধানের খই বানাত,গুড় দিয়ে যখন খেতে দিত মনে হত অমৃত।
স্বাদটা এখনো লেগে আছে খালি দাদী আর খইটা গত হয়ে গেল।
আর একটা মধুর ঝামেলা ছিল বাড়ীতে বৃদ্ধ এক #দাদা ছিল,উঠানের পাশেই তাহার ছোট্ট একটা ঘর ছিল,আমরা যখন ফুটবল খেলতাম তখন বল যদি ওনার ঘরে গিয়ে পড়ত,তখন একটা গালি দিত যা আজও কানে বাজেঁ,(আলার পুতিয়ে অল তুরা থিয়ে আই আইর)
দাদাটা অনেক আগেই বিদায় নিছে,ঘরটাও নেই এখন।
আরও একটা মজার ঘটনা ছিল আমার শ্রদ্ধেয় চাচা #ফজলুল_করিমকে নিয়ে,
আমরা যখন দুপুরে খেলতাম তখন ওনি ঘুমাতেন,
আমাদের চেচামেচির শব্দে যখন ওনার ঘুম ভেঙ্গে যেত তখন ওনি বের হয়ে বকা দিত,আমরাত #ভোদৌড়, পড়িমরি করে দিকবেদিক হয়ে ছুটতাম আর লুকাতাম,কতযে লাটিম,মার্বেল,লুড়ুর ঘর ওনি পানিতে পেলেছেন,ছিড়েছেন তার ইয়াত্তা নেই।
চাচার সেই কড়া মেজাজ এখন আর নেই,
ওনি ডায়বেটিস,ব্লাড প্রেসারের রোগী এখন,
আর ধমক দেয়না,
ওনার সেই ধমকানিতেই এই একটু আধটু পড়ালেখা করতে পারলাম,নয়ত তাও হতনা বাড়ির কারও,এমনকি আমার ফুফাত ভাইরাও ওনাকে ভয় পেত।
ওনাকে আরও বহুদিন সুস্থ,স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে পারার জন্য মাবুদের নিকট রহমত চাইতেছি।
সবমিলিয়ে আমরা বর্ষাটাকে দারুণ উপভোগ করতাম,
যা এখন কাঁচা রাস্তা পাকা হওয়ার সুবাদে সেই কাঁধার স্বাদ এখন অনেকে পাইনা।
ফেরার অপেক্ষায় প্রহর গুনছি,
ওপারে নয় প্রিয় #গ্রামে
#বর্ষা_গ্রামে
এখনো ইচ্ছে করে স্কুল লাইফে ফিরে গিয়ে সেই আবারো বৃষ্টিতে ভিজতে।
উত্তরমুছুনহুম🥰
মুছুনশৈশব মানেই আনন্দ আর হৈ হুল্লোড় 😍
হারিয়ে গেছে সোনালী দিনগুলো😭