মাহাথীর মোহাম্মদ যে বছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন ( ১৯৮০) , সে বছর মালয়েশিয়ার গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাকশন(জিডিপি) ছিল মাত্র ১২ বিলিয়ন ডলার। আর যেবছর দায়িত্ব ছাড়েন সেবছর মালয়েশিয়ার গ্রস ডোমেস্টিক ইনকাম প্রোডাকশন ছিল ২১০ বিলিয়ন ডলার। মাথাপিছু আয় ৩০০০ ডলার ,সাউথ ইস্ট এশিয়ার তৃতীয় সর্বোচ্চ মাথাপিছু ইনকাম।
মাহাথীরের এই দীর্ঘ সাফল্যের রহস্যটা কি?
এটা কি মাহাথীর এলেন , মাহাথীর দেখলেন আর মাহাথীর জয় করলেন এমন কিছু ছিল?
আজ্ঞে না। আমরা তো মুখে মুখে বলে ফেলি আমরা মাহাথীরের মত লিডার চাই , উনার মতো নেতৃত্ব চাই। তাহলে শুনুন, মাহাথীর মোহাম্মদের সময়ে মালয়েশিয়ার এই ধারাবাহিক উন্নতির পেছনে মূল যে কারণ ছিল
Controlled democracy বা নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র।
১৯৮০ সালে মালয়েশিয়াতে মাহাথীর যখন ক্ষমতায় আসে মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি এক কথায় ছিলো টোটাল ক্যাওস। হরতাল ,মিছিল ,মিটিং, নৈরাজ্য লেগেই থাকতো । ফ্রিডম অফ স্পিচের নামে মানুষ কাজ কাম বাদ দিয়ে সারাক্ষণ ব্যাস্ত থাকত পলিটিকাল তর্কাতর্কিতে।
মাহাথির বিশ্বাস করতেন , এই যে নানা ধর্মের নানা মতের মালয়েশিয়াকে একটি স্টেবল মালয়েশিয়া বানাতে যারা দেশে রাজনীতির নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটায় তাদের কে নিয়ন্ত্রন করতে হবে, প্রয়োজনে আইন প্রয়োগ করে উচ্ছৃংঙ্খল রাজনীতিতে বিশ্বাসীদের জেলে ঢুকাতে হবে।
যা ভাবলেন তাই করলেন মাহাথীর। ১০৬ জন বিরোধী দলীয় নেতাকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর দায়ে জেলে ঢুকালেন।
কোন আইনে ঢুকালেন? মাহাথীরের পাশ করা অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা আইন বা Internal Security Act দ্বারা। ক্ষোভে ফেটে পড়ল বিরোধী দল এবং মিডিয়াগুলো।
মাহাথীর এবার নিয়ে পড়লেন মিডিয়াগুলোর পেছনে। প্রতিটি প্রাইভেট এবং সরকারি নিউজ পেপারে সেন্সর জারি করা হলো। জাতীয় পর্যায়ে ঝামেলার সৃষ্টি হয় এমন কোন নিউজ করা যাবেনা।
যখন হিউম্যান রাইটস গ্রুপ গুলো মাহাথীরকে প্রশ্ন করত
Where is our freedom?
মাহাথীর উত্তর দিত ,
"Freedom for whom? For rogue speculators. for anarchists wanting to destroy weak countries in their crusade for open societies."
এদিকে পশ্চিমা বিশ্ব তখন মাহাথীরের পিছে লেগে গেছে
মালয়েশিয়ার মানুষের মানবাধিকার নাই ,ফ্রিডম অফ স্পিচ নাই, গণতন্ত্র নাই ইত্যাদি ইত্যাদি। মালয়েশিয়াতে তখন সি আই এর এজেন্ট এনজিওগুলোর কাজই ছিল বিভিন্ন জরিপ ,প্রতিবেদন ইত্যাদি প্রকাশ করে এইটা প্রমাণ করার চেষ্টা করা যে মাহাথীর মোহাম্মদ ইজ আ ডিকটেটর। মালয়শিয়ায় কোন গণতন্ত্র নাই।
কিন্তু মাহাথীর মোহাম্মদ তার লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন। তার লক্ষ্য ছিল একটি পলিটিক্যালি স্টেবল ডেভেলপড মালয়েশিয়া।
ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দশ বছরে মাহাথীর মোহাম্মদকে ভুল বুঝেছিল দেশের মানুষও। হিউম্যান রাইটস ,ফ্রিডম অফ স্পিচের ধুয়াতে বিশ্বাস করেছিল অনেকেই। কিন্তু মাহাথীরের লং টাইম প্ল্যানিং ই শেষ পর্যন্ত সফল হলো।
পলিটিকাল ইনডিসিপ্লিন মালয়েশিয়া "কন্ট্রোল্ড ডেমোক্রেসির মাধ্যমে আজাইরা রাজনীতিতে বিজি না থেকে পরিশ্রম করে কাজ করে আজকের আধুনিক মালয়েশিয়া তে পরিণত হয়েছে।
এখন আর ফ্রিডল অফ স্পিচের লোকদের পাওয়া যায়না। তারা মাহাথীরের উন্নয়নের স্রোতে গর্তে লুকাইছে।
ঠিক সেইম কেস টাই ছিল শেখ হাসিনার সামনে। ২০০৮ এ যখন ক্ষমতায় আসলেন বাংলাদেশ তখন শুন্য রিজার্ভের ৬ ঘন্টা লোডশেডিং আর টেকনোলজিলেস বাংলাদেশ।
মাহাথীরের সামনে রাজাকারের ফাসি ছিলনা শেখ হাসিনার সামনে সেই কঠিন দায়িত্বও ছিলো।
এদিকে মাহাথীরের মালয়েশিয়ায় যেমন দেশ কে অস্থিতিশীল করে দেয়ার মত বিরোধীদল ছিল শেখ হাসিনার বাংলাদেশে তেমন,
পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ পোড়ানো, দুর্নীতিতে টানা পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া দল বিএনপি আছে যে দলের অপরাজনীতিকে শেখ হাসিনা শক্ত হাতে সামলেছেন।
মজার ব্যাপার হলো ,মাহাথীর মোহাম্মদ মিডিয়া সেন্সর করতেন। আর শেখ হাসিনা অন্তত ১০-১৫ টা নতুন চ্যানেলের অনুমতি দিয়েছেন। থাকুক সমালোচনা। দেশ এগোবেই।
মাহাথীর মোহাম্মদ এক সময় মিটিং মিছিল নিষিদ্ধ করেছিলেন। শেখ হাসিনার সরকারের সময় কোটা সংস্কার আন্দোলন ,নিরাপদ সড়ক আন্দোলন হয়েছে। সরকার দাবি মেনেও নিয়েছেন।
মাহাথীর মোহাম্মদের ডেমোক্রেসিকে কন্ট্রোল্ড ডেমোক্রেসি বলা হলে ,শেখ হাসিনার ডেমোক্রেসিকে আমি বলব ''Progressive Democracy বা প্রগতিশীল গণতন্ত্র। "
২০০৮ এ দায়িত্ব নিয়ে দিন রাত পরিশ্রম করে দেশের মানুষ শেখ হাসিনার লিডারশীপে আজ এই পর্যায়ে এসেছে।
যদিও এ দেশে পশ্চিমা দেশগুলোর চর ধান্দাবাজ অনেক এনজিও সেটা মানতে নারাজ। তারা চায় বাংলাদেশের মানুষ আবারো কাজ কর্ম বাদ দিয়ে মিটিং মিছিল জ্বালাও পোড়াও শুরু করুক।
আজ্ঞে না। এদেশের মানুষ বুঝে গেছে দেশের উন্নতিতে নিয়ন্ত্রিত রাজনৈতিক পরিবেশে জাতি হিসেবে পরিশ্রমের বিকল্প নাই।
এখনো অনেক দূর যাওয়ার বাকি। শেখ হাসিনাই হবে নেক্সট মাহাথীর মোহাম্মদ। যাকে একসময় ভুল বুঝলেও যার উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাবে সব প্রশ্ন।
এখন আমাদের উচিত জাতি হিসেবে শেখ হাসিনার উপর বিশ্বাস রাখা। যে বিশ্বাস মালয়েশিয়া বাসী একদিন মাহাথীরের উপর রেখেছিল।
লেটস সে টুগেদার,
আই বিলিভ ইন শেখ হাসিনা
উই বিলিভ ইন শেখ হাসিনা।
#কালেক্টেড
#Vote_for_Boat#
মাহাথীরের এই দীর্ঘ সাফল্যের রহস্যটা কি?
এটা কি মাহাথীর এলেন , মাহাথীর দেখলেন আর মাহাথীর জয় করলেন এমন কিছু ছিল?
আজ্ঞে না। আমরা তো মুখে মুখে বলে ফেলি আমরা মাহাথীরের মত লিডার চাই , উনার মতো নেতৃত্ব চাই। তাহলে শুনুন, মাহাথীর মোহাম্মদের সময়ে মালয়েশিয়ার এই ধারাবাহিক উন্নতির পেছনে মূল যে কারণ ছিল
Controlled democracy বা নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র।
১৯৮০ সালে মালয়েশিয়াতে মাহাথীর যখন ক্ষমতায় আসে মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি এক কথায় ছিলো টোটাল ক্যাওস। হরতাল ,মিছিল ,মিটিং, নৈরাজ্য লেগেই থাকতো । ফ্রিডম অফ স্পিচের নামে মানুষ কাজ কাম বাদ দিয়ে সারাক্ষণ ব্যাস্ত থাকত পলিটিকাল তর্কাতর্কিতে।
মাহাথির বিশ্বাস করতেন , এই যে নানা ধর্মের নানা মতের মালয়েশিয়াকে একটি স্টেবল মালয়েশিয়া বানাতে যারা দেশে রাজনীতির নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটায় তাদের কে নিয়ন্ত্রন করতে হবে, প্রয়োজনে আইন প্রয়োগ করে উচ্ছৃংঙ্খল রাজনীতিতে বিশ্বাসীদের জেলে ঢুকাতে হবে।
যা ভাবলেন তাই করলেন মাহাথীর। ১০৬ জন বিরোধী দলীয় নেতাকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর দায়ে জেলে ঢুকালেন।
কোন আইনে ঢুকালেন? মাহাথীরের পাশ করা অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা আইন বা Internal Security Act দ্বারা। ক্ষোভে ফেটে পড়ল বিরোধী দল এবং মিডিয়াগুলো।
মাহাথীর এবার নিয়ে পড়লেন মিডিয়াগুলোর পেছনে। প্রতিটি প্রাইভেট এবং সরকারি নিউজ পেপারে সেন্সর জারি করা হলো। জাতীয় পর্যায়ে ঝামেলার সৃষ্টি হয় এমন কোন নিউজ করা যাবেনা।
যখন হিউম্যান রাইটস গ্রুপ গুলো মাহাথীরকে প্রশ্ন করত
Where is our freedom?
মাহাথীর উত্তর দিত ,
"Freedom for whom? For rogue speculators. for anarchists wanting to destroy weak countries in their crusade for open societies."
এদিকে পশ্চিমা বিশ্ব তখন মাহাথীরের পিছে লেগে গেছে
মালয়েশিয়ার মানুষের মানবাধিকার নাই ,ফ্রিডম অফ স্পিচ নাই, গণতন্ত্র নাই ইত্যাদি ইত্যাদি। মালয়েশিয়াতে তখন সি আই এর এজেন্ট এনজিওগুলোর কাজই ছিল বিভিন্ন জরিপ ,প্রতিবেদন ইত্যাদি প্রকাশ করে এইটা প্রমাণ করার চেষ্টা করা যে মাহাথীর মোহাম্মদ ইজ আ ডিকটেটর। মালয়শিয়ায় কোন গণতন্ত্র নাই।
কিন্তু মাহাথীর মোহাম্মদ তার লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন। তার লক্ষ্য ছিল একটি পলিটিক্যালি স্টেবল ডেভেলপড মালয়েশিয়া।
ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দশ বছরে মাহাথীর মোহাম্মদকে ভুল বুঝেছিল দেশের মানুষও। হিউম্যান রাইটস ,ফ্রিডম অফ স্পিচের ধুয়াতে বিশ্বাস করেছিল অনেকেই। কিন্তু মাহাথীরের লং টাইম প্ল্যানিং ই শেষ পর্যন্ত সফল হলো।
পলিটিকাল ইনডিসিপ্লিন মালয়েশিয়া "কন্ট্রোল্ড ডেমোক্রেসির মাধ্যমে আজাইরা রাজনীতিতে বিজি না থেকে পরিশ্রম করে কাজ করে আজকের আধুনিক মালয়েশিয়া তে পরিণত হয়েছে।
এখন আর ফ্রিডল অফ স্পিচের লোকদের পাওয়া যায়না। তারা মাহাথীরের উন্নয়নের স্রোতে গর্তে লুকাইছে।
ঠিক সেইম কেস টাই ছিল শেখ হাসিনার সামনে। ২০০৮ এ যখন ক্ষমতায় আসলেন বাংলাদেশ তখন শুন্য রিজার্ভের ৬ ঘন্টা লোডশেডিং আর টেকনোলজিলেস বাংলাদেশ।
মাহাথীরের সামনে রাজাকারের ফাসি ছিলনা শেখ হাসিনার সামনে সেই কঠিন দায়িত্বও ছিলো।
এদিকে মাহাথীরের মালয়েশিয়ায় যেমন দেশ কে অস্থিতিশীল করে দেয়ার মত বিরোধীদল ছিল শেখ হাসিনার বাংলাদেশে তেমন,
পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ পোড়ানো, দুর্নীতিতে টানা পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া দল বিএনপি আছে যে দলের অপরাজনীতিকে শেখ হাসিনা শক্ত হাতে সামলেছেন।
মজার ব্যাপার হলো ,মাহাথীর মোহাম্মদ মিডিয়া সেন্সর করতেন। আর শেখ হাসিনা অন্তত ১০-১৫ টা নতুন চ্যানেলের অনুমতি দিয়েছেন। থাকুক সমালোচনা। দেশ এগোবেই।
মাহাথীর মোহাম্মদ এক সময় মিটিং মিছিল নিষিদ্ধ করেছিলেন। শেখ হাসিনার সরকারের সময় কোটা সংস্কার আন্দোলন ,নিরাপদ সড়ক আন্দোলন হয়েছে। সরকার দাবি মেনেও নিয়েছেন।
মাহাথীর মোহাম্মদের ডেমোক্রেসিকে কন্ট্রোল্ড ডেমোক্রেসি বলা হলে ,শেখ হাসিনার ডেমোক্রেসিকে আমি বলব ''Progressive Democracy বা প্রগতিশীল গণতন্ত্র। "
২০০৮ এ দায়িত্ব নিয়ে দিন রাত পরিশ্রম করে দেশের মানুষ শেখ হাসিনার লিডারশীপে আজ এই পর্যায়ে এসেছে।
যদিও এ দেশে পশ্চিমা দেশগুলোর চর ধান্দাবাজ অনেক এনজিও সেটা মানতে নারাজ। তারা চায় বাংলাদেশের মানুষ আবারো কাজ কর্ম বাদ দিয়ে মিটিং মিছিল জ্বালাও পোড়াও শুরু করুক।
আজ্ঞে না। এদেশের মানুষ বুঝে গেছে দেশের উন্নতিতে নিয়ন্ত্রিত রাজনৈতিক পরিবেশে জাতি হিসেবে পরিশ্রমের বিকল্প নাই।
এখনো অনেক দূর যাওয়ার বাকি। শেখ হাসিনাই হবে নেক্সট মাহাথীর মোহাম্মদ। যাকে একসময় ভুল বুঝলেও যার উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাবে সব প্রশ্ন।
এখন আমাদের উচিত জাতি হিসেবে শেখ হাসিনার উপর বিশ্বাস রাখা। যে বিশ্বাস মালয়েশিয়া বাসী একদিন মাহাথীরের উপর রেখেছিল।
লেটস সে টুগেদার,
আই বিলিভ ইন শেখ হাসিনা
উই বিলিভ ইন শেখ হাসিনা।
#কালেক্টেড
#Vote_for_Boat#
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thank you ❤️